১৭ মে ২০২৪, ০২:০১ অপরাহ্ন, ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
ইচ্ছের বিরুদ্ধে পরিবারের চাপে বাগদান সারতে হয়েছিল তরুণীকে। অভিযোগ উঠেছে, দেখা করতে ডেকে হবু সেই বরের গলায় ছুরি চালিয়ে গুরুতর জখম করেছেন ওই তরুণী।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে।
অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আহত ব্যক্তির নাম রামু নাইডু। তিনি কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (সিএসআইআর) একজন বিজ্ঞানী।
পুলিশ বলছে, ছুরির আঘাতে রামুর গলায় গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবু বরের গলায় ছুরি চালানো ওই তরুণীর নাম পুষ্পা। ২২ বছর বয়সী এই তরুণী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে , প্রাথমিক তদন্তে, ওই তরুণী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন । তিনি জানিয়েছেন,তিনি বিয়ে করতে চান না, নিজের জীবন ঈশ্বরের সেবায় উৎসর্গ করতে চান। বাবা-মাকে সেকথা জানিয়েও ছিলেন। কিন্তু মা–বাবা পাত্র হিসেবে রামুকে পছন্দ করেন। আগামী মাসে রামুর সঙ্গে পুষ্পার বিয়ে ঠিক হয়। এ পরিস্থিতিকে চমক দেওয়ার কথা বলে রামুকে ডেকে নেন পুষ্পা। দেখা করতে গেলে রামুর গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করেন পুষ্পা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রামুকে ফেলে চলে যান।
পুলিশ জানায়, রামুর সঙ্গে দেখা করার আগে পুষ্পা তিনটি ছুরি কিনেছিলেন।
স্থানীয় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এস গৌতমী বলেন, পুষ্পার বিরুদ্ধে আগে অপরাধমূলক কোনো কাজের অভিযোগ থানায় নেই।
পরে একটি ভিডিতে দেখা যায়, রামুর সাদা শার্ট রক্তে ভিজে গেছে। পুলিশ জানায়, মেয়েটি বিয়ে করতে বারবার আপত্তি জানালেও তার বাবা কথা শোনেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি এই কাজ করেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, ‘সারপ্রাইজ’ সাক্ষাতের কথা বলে পুষ্পা স্থানীয় একটি পাহাড়ের চূড়ায় রামুকে ডেকে নেন। পরে পাহাড়ের চূড়ায় থাকা একটি মন্দিরের কাছে রামুর গলায় ছুরিকাঘাত করেন পুষ্পা। ছুরিকাঘাতে রামু গুরুতরভাবে আহত হন। পুলিশ গোটা বিষয়টি তদন্ত করছে।
এদিকে, ছুরিকাঘাতের পর রামু জরুরি নাম্বারে ফোন করেন। কিন্তু জায়গাটা অপরিচিত হওয়ায় সঠিকভাবে নিজের অবস্থানের কথা জানাতে পারেননি। পরে তিনি স্বজনদের ফোন করেন। চিকিৎসক জানান, অন্তত ৩০ টি সেলাই দিতে হয়েছে রামুর গলায়।